মুমিন হওয়ার জন্য আপনার যে সব গুন থাকা লাগবে তা হল-
নিয়মিত সালাত আদায় করতে হবে, মিথ্যা কথা বলা পরিহার করতে হবে, সবার সাথ ভালো ব্যবহার করতে হবে, কাউকে কষ্ট দিয়ে কথা বলা যাবে না বা এমন কোন আচরণে অন্য কেউ কষ্ট পায় সেই ধরনের আচারণ করা যাবে না, বেশি বেশি পরকাল নিয়ে চিন্তা করতে হবে, ছোট বড় সবাইকে সালাম দিতে হবে, সাধ্য মত দান করতে হবে বা সাদকা দিতে হবে।
Anonymous - 2 years ago
মুমিনের গুণাবলী হল -
- এক আল্লাহর উপর বিশ্বাস স্থাপন করা।
- আল্লাহর ফেরেশতাদের ওপর বিশ্বাস পূর্ণ স্থাপন করা।
- আসমানি কিতাবসমূহের উপর বিশ্বাস স্থাপন করা।
- সব রাসুলদের ওপর পূর্ণ বিশ্বাস স্থাপন করা।
- আল্লাহ তাআলা কর্তৃক সুনির্ধারিত ভাগ্যের ভালো ও মন্দের ওপর বিশ্বাস রাখা।
- পরকালের উপর বিশ্বাস স্থাপন করা।
- ধৈর্য ধারণ করা।
- যে কোন পরিস্থিতিতে রাগ নিয়ন্ত্রণ করা।
- নিজের সংশোধনের পাশাপাশি অন্যের সংশোধনের প্রচেষ্টা থাকা ।
- মানুষের মঙ্গল কামনা করা বা অন্যের উপকার করা।
- সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে নির্ভীক থাকা।
- শক্তিশালী মুমিনের হৃদয় হয় ভালবাসা, দয়া, মায়া ও মমতায় পূর্ণ।
- শক্তিশালী মুমিনের অন্যতম সেরা গুণ হল, তার অন্তরে প্রচণ্ড উদ্যম কাজ করে। সে কখনও অলসতাকে সুযোগ দেয় না। কেননা অলসতাকে আশ্রয় দেয়া মানে, শয়তানের নিকট নিজেকে সঁপে দেয়া। যে নিজেকে শয়তানের কাছে সঁপে দেয় তার ধ্বংস অনিবার্য।
Anonymous - 2 years ago
রাসূল (সাঃ) বলেন, ‘শক্তিশালী মুমিন দুর্বল মুমিনের চেয়ে অধিক উত্তম এবং আল্লাহর নিকট অধিক প্রিয়। আর সবকিছুতেই কল্যাণ রয়েছে। সুতরাং যাতে তোমাদের কল্যাণ রয়েছে তা অর্জনে আগ্রহী হও এবং আল্লাহর সাহায্য কামনা কর। দুর্বলতা প্রদর্শন করো না। তবে যদি তোমাদের কোন কাজে কিছু ক্ষতি সাধিত হয়, তখন তোমরা এভাবে বলো না যে, “যদি আমি কাজটি এভাবে করতাম তা হলে আমার এই এই হত।” বরং বল, “আল্লাহ এটাই তকদীরে রেখেছিলেন। আর তিনি যা চান তা-ই করেন।” কেননা ‘যদি’ শব্দটি শয়তানের কাজের পথকে উন্মুক্ত করে দেয়।’ - মুসলিম, মিশকাত হা/৫২৯৮।
মুমিনের গুণাবলী গুলো হল -
• ঈমান সুদৃঢ় করা।
• ধৈর্য ধারণ করা সর্বাবস্তায়।
• দ্বীনের ইলম অর্জন করা।
• শক্তিশালী মুমিন তার রাগ নিয়ন্ত্রণ করে। সে কখনও
ব্যক্তি স্বার্থে রাগ করে না। কেউ তার প্রতি অবিচার করলে
প্রতিশোধ নেয়ার ক্ষমতা থাকার পরও সে ক্ষমা করে দেয়।
এ সম্পর্কে রাসূল (সাঃ) বলেন, প্রকৃত বীর সে ব্যক্তি নয়, যে
কাউকে কুস্তিতে হারিয়ে দেয় । বরং সেই প্রকৃত বীর যে রাগের সময় নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করে। - বুখারী ও মুসলিম।
• শক্তিশালী মুমিন কেবল নিজের সংশোধনকেই যথেষ্ট
মনে করে না। বরং আল্লাহ তাকে যে শক্তি ও সামর্থ্য
দিয়েছে তা পরিপূর্ণভাবে ব্যবহার করে অন্যকেও
সংশোধনের কাজে ব্রতী হয়।
• আল্লাহর জন্য নিজের জান- মাল, সহায়-সম্পত্তি উৎসর্গ
করা।
• আল্লাহর জিকিরের সময় মনে তৃপ্তি ও প্রফুল্লতা অনুভব
করা।