রোযারত অবস্থায় স্ত্রীকে আদর করে চুম্বন বা আলিঙ্গন করা যাবে কি না?
Published: 2021-04-24 03:40:00
সাওম অবস্থায় স্বামী তার স্ত্রীকে সহবাস ব্যতীত চুমা দেয় বা আলিঙ্গন করে তবে তা জায়েয। এতে রোযার কোন অসুবিধা হয় না। রাসূলুল্লাহ (সঃ) রোযা রাখা অবস্থায় স্ত্রীকে চুম্বন করতেন , আলিঙ্গনও করতেন। আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন রাসূল (সাঃ) রোযা অবস্থায় চুমু দিতেন এবং আলিঙ্গন করতেন। কিন্তু আপন বা জৈবিক চাহিদা পূরণের ক্ষেত্রে তিনি ছিলেন তোমাদের মধ্যে সবথেকে বেশি নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতার অধিকারী। - [ সহীহ বুখারী : ১৮৪১, সহীহ মুসলিম : ১১২১] তবে এতে যদি যদি সহবাসে লিপ্ত হয়ে পরার আশঙ্কা থাকে তবে তা মাকরূহ হবে। আর আলিঙ্গনের কারণে যদি বীর্যপাত হয়ে যায় তবে দিনের বাকি অংশ রোযা অবস্থায় থেকে পরে রোযার কাজা আদায় করবে। কাফফারা আদায় করতে হবে না। এটা অধিকাংশ আলেমদের মত। চুমো বা আলিঙ্গনের কারণে যদি মজী বের হয় তবে এতে সিয়ামের কোন ক্ষতি হয় না। এটাই বেশি বিশুদ্ধ মত। আল্লাহ তাআলাই সর্বাধিক জ্ঞাত। যুবক বা বৃদ্ধ হোক না কেন স্ত্রীকে চুমো বা আলিঙ্গন করা জায়েজ যদি যৌন তাড়নার বশবর্তী হয়ে সহবাসে লিপ্ত বা বীর্যপাত হবে না বলে নিজের ওপর দৃড় আস্থা থাকে। রোযা নফল হোক বা ফরজ হোক বা রসযানের রোযা হোক না কেন বা অন্য কোন মাসের রোযা। আলিঙ্গন দ্বারা উদ্দেশ্য গায়ে গা মিলানো। যেমন – স্পর্শ করা বা জড়িয়ে ধরা। আলিঙ্গন এখানে স্ত্রী সহবাসের উদ্দেশ্য নয়। কারণ হল স্ত্রী সহবাস অবশ্রই রোযাভঙ্গকারী । রমযান মাসে কোন রোযদার যদি আপন স্ত্রীকে চুমো দেয় অথবা স্পর্শ করে কিংবা আলিঙ্গন করে আর এতে তার বীর্যপাত হয় তাহলে রোযা ভেঙ্গে যাবে। তবে এরপরও তাকে রোযার সম্মানার্থে সারাদিন রোযা অবস্থায় থাকতে হবে। এবং রোযা কাজা করতে হবে ও তাওবা ইস্তেগফার করতে হবে। হাদীসে বর্ণিত আছে, একজন রোযাদার তার চাহিদা এবং খানা-পিনা আমার (আল্লাহর) কারণই ছাড়ে। এ সম্পর্কে রাসূল (সাঃ) বলেন, সে তার স্বাদ গ্রহণ আমর জন্যই ত্যাগ করে এবং তার স্ত্রী আমার জন্যই ছাড়ে। তবে যদি ‘মজি’ বের হয় তাতে রোযা ভঙ্গ হবে না। অধিকাংশ আলেমদের মতে, এতে তার উপর কোন কিছু ওয়াজিব হবে না তবে তার উচিত হলো যৌন উত্তেজক আচরণ যেগুলো হারামে পতিত করার সম্ভাবনা রাখে তা হতে বিরত থাকা। - [আহসানুল ফাতওয়া , ফাতওয়া দারুল, বেহেশতি যেওর, মিনহাতুল বারী : ৩৬৪/৪]