সহজ কিছু আমল
Published: 2021-04-29 02:15:00

সহজ কিছু আমল। যা পাঠ করলে আমরা সবাই উপকৃত হব।
- ‘‘যে দুনিয়াবি কোন কারন ছাড়া দ্বীনি ইলম শিখা বা শিখানোর উদ্দেশ্যে মসজিদে যায়, সে ঐ ব্যক্তির মত যে তার হজ্জ পূর্ণ করেছে।’’ - আত তাবারানী
- ‘‘রমজানে ওমরাহ করা আমার সাথে হজ্জ করার সমান।’’ –বুখারী
- ‘‘একজন ব্যক্তির আল্লাহর পথে জিহাদের সারিতে দাড়ানো, ৬০ বছর ইবাদাতের চেয়েও উত্তম।’’ - আল-হাকিম
- ‘‘যে ব্যক্তি ঈমানদার নারী পুরুষের জন্য ইসতিগফার করে, আল্লাহ প্রত্যেকের জন্য ১টি করে নেক আমল লিখে দেন। -রিয়াদুস সালেহিনম: ৫১
- ‘‘সুবহানালা-হি ওয়াল হামদু লিলা-হি, ওয়ালা ইলা-হা ইলালাহ-হু আলাহু আকবার’’ এই কালিমাগুলো বলা, সূর্য যে সমস্ত জিনিসের ওপর উদিত হয়, সেই সমুদয় জিনিসের অপেক্ষা অধিকতর প্রিয়।’ –মুসলিম
- ‘‘যে ব্যক্তি ফজরের সালাত জামা’আতের সাথে পড়ে, তারপর সূর্য ওঠার আগ পর্যন্ত আল্লাহর যিকর করে, তারপর দু’ রাকাআত সালাত পড়ে, সে যেন হজ্জ এবং ওমরাহর সওয়াব পূর্ণ করল। রাসূল (সাঃ) একথাটি ৩বার জোরে জোরে পুনরাবৃত্তি করলেন। - আত-তিরমিজি ‘‘সাহাবীরা বললেন, ‘‘ ইয়া রসূলুলাহ! ধনীরা তো আখিরাতে বেশী পুরস্কার পাবে, তারা হজ্জ আদায় করে, আমরা পারিনা, তারা জিহাদ করে এবং আমরা পারিনা। মুহাম্মাদ (সাঃ) বললেন, ‘‘আমি কি তোমাদের এ রকম কিছুর কথা বলব না, যদি তোমরা এটি শক্ত করে ধরে রাখ, তাহলে তোমরা তাদের মত সওয়াব অর্জন করতে পারবে। তাহল প্রত্যেক সালাতের পর আলাহু আকবার ৩৪ বার, সুবহান আলাহ ৩৩ বার এবং আলহামদুলিলাহ ৩৩ বার বলা।’’
- হযরত আবু হুরইরহ রদিয়াল্লহু আ’নহু হইতে বর্ণিত আছে যে, রাসূল (সাঃ) এরশাদ করেন, (যখন) কোন বান্দা অন্তরের এখলাসের সহিত, লা ইলাহা ইল্লাল্লহ বলে, তখন এই কালেমার জন্য নিশ্চিতরূপে আসমানের দরজাসমূহ খুলে দেওয়া হয়। এমনকি এই কালেমা সোজা আরশ পর্যন্ত পৌঁছিয়া যায়। অর্থাৎ সাথে সাথেই কবুল হয়ে যায়। তবে শর্ত হইল, যদি এই কালেমা পাঠকারী কবীরা গুনাহ না করে থাকে। - তিরমিযী
- আবু যার জুনদুব বিন জুনাদাহ্ এবং আবু আব্দুর রহমান মু’আয বিন জাবাল রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা হতে বর্ণিত আছে, তারা বলেন, রাসূল (সাঃ) বলেছেন: “তুমি যেখানে যে অবস্থায় থাক না কেন আল্লাহকে ভয় কর এবং প্রত্যেক মন্দ কাজের পর ভাল কাজ কর, যা তাকে মুছে দেবে; আর মানুষের সঙ্গে ভাল ব্যবহার কর।” - তিরমিযী: ১৯৮৭, এবং (তিরমিযী) বলেছেন যে, এটা হচ্ছে হাসান হাদীস। কোন কোন সংকলনে এটাকে সহীহ্ (হাসান) বলা হয়েছে।
- প্রতি রাতে সূরা মূলক পাঠ করুন। এতে কবরের শাস্তি থেকে মুক্তি পেয়ে যাবেন। - সহিহ নাসাই, সহিহ তারগিব, হাকিম হাদিস নং- ৩৮৩৯, সিলসিলাহ সহিহাহ, হাদিস নং- ১১৪০।
- সকালে ১০০ বার ও বিকালে ১০০ বার সুবহানাল্লাহিল আজিম ওয়া বিহামদিহি পড়লে সৃষ্টিকুলের সমস্ত মানুষ থেকে বেশী মর্যাদা দেওয়া হবে। - সহিহ আবু দাউদ : ৫০৯১
- হজরত জাবের (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সাঃ) ইরশাদ করেন, 'যে ব্যক্তি 'সুবহানাল্লাহিল আজিম ওয়া বিহামদিহি' পাঠ করে, তার জন্য জান্নাতে একটি খেজুরগাছ রোপণ করা হয়। - তিরমিজি : ৩৪৬৪
- প্রতিমাসের আয়ের একটা অংশ এতিমখানা বা মসজিদ মাদ্রাসা বা গরিব-দুখি, বিধবা ও দুস্থদের মাঝে দান করবেন হোক সেটা অতি অল্প এতে আপনি আল্লাহ তা’লার কাছে জিহাদকারির সমতুল্য হবেন। - সহিহ : ৬০০৭
- ঘুমানোর আগে সূরা মূলক তিলাওয়াত করা, তিন কুল(ইখলাস,ফালাক্ব,নাস) পড়ে তিনবার শরীর দম করা, ঘুমের দুয়া পড়া, আয়াতুল কুরসী পড়া, সূরা কাফিরুন পড়ে ডান কাত হয়ে শোয়া।
- ঘুমের মধ্যে কোন খারাপ স্বপ্ন দেখলে উঠে বামপাশে তিনবার থু থু ফেলা এবং আউযুবিল্লাহি মিনাশ শাইত্বনির রজিম পড়ে আল্লাহর কাছে শয়তানের হাত থেকে পানাহ চাওয়া।
- ‘‘কেউ যদি চায় যে তার মূলধন বৃদ্ধি করা হোক এবং বয়স দীর্ঘ করা হোক, তবে তাকে বলুন সে যেন আত্নীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করে।’’ - বুখারী, মুসলিম
- নফল সালাত বাসায় পড়া :- ‘‘ফরজ সালাত ছাড়া মানুষের সালাতের মধ্যে সেই সালাত উৎকৃষ্ট, যা সে ঘরে পড়ে।’’ - বুখারী , মুসলিম
- ‘‘যে ব্যক্তি নিজের গৃহ থেকে পবিত্রতা অর্জন করে (অজু ও প্রয়োজনে গোসলও করে) আল্লাহর গৃহের মধ্য থেকে কোন একটি গৃহের দিকে যায়, আল্লাহর ফরজের মধ্য থেকে কোন একটি ফরজ আদায় করার উদ্দেশ্যে, তার একটি পদক্ষেপে একটি গুনাহ ক্ষমা করা হয় এবং অন্য পদক্ষেপটি তার একটি মর্যাদা উন্নত করে।’’ – সহীহ মুসলিম
- মাদীনার মাসজিদুল কুবায় সলাত পড়া :-
- ‘‘যে ব্যক্তি ঘর থেকে নিজেকে পবিত্র করে, তারপর মাসজিদুল কু’বায় আসে এবং সালাত পড়ে, সে যেন ওমরাহর সওয়াব পেল।’’ - আন নাসাঈ, ইবন মাজাহ
- ‘‘যে ব্যক্তি রমজানের রোজা রাখলো, তারপর শাওয়ালের ৬টি রোজা রাখলো সে যেন এক বছর রোজা রাখলো।”
- ‘‘প্রত্যেক মাসে ৩টি রোজা রাখা সারা বছর রোজা রাখার সমান।’’ – সহীহ বুখারী, সহীহ মুসলিম
- ‘‘যে ব্যক্তি কোন রোজাদারকে ইফতার করায় সে তার (রোজাদার) সমান প্রতিদান পায়, কিন্তু এর ফলে রোজাদারের প্রতিদানের মধ্যে কোন কমতি হবে না।’’- তিরমিজি, ইবন মাজাহ
- প্রত্যেক ফরজ সালাত শেষে আয়াতুল কুরসি পাঠ করুন এতে মৃত্যুর সাথে সাথে জান্নাতে যেতে পারবেন। - সহিহ নাসাই, সিলসিলাহ সহিহাহ : ৯৭২
- সকালে ১০০ বার ও সন্ধ্যায় ১০০ বার সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি পাঠ করলে কিয়ামতের দিন তার চেয়ে বেশী সওয়াব আর কারো হবে না। - সহিহ মুসলিম : ২৬৯২
- বাড়িতে সালাম দিয়ে প্রবেশ করুন এতে আল্লাহ তা’লা নিজ জিম্মাদারিতে আপনাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন। - ইবনু হিব্বান : ৪৯৯, সহিহ তারগিব : ৩১৬
- মহিলারা ৪টি কাজ করবেন, ১) ৫ ওয়াক্ত সালাত ২) রমজানের রোযা, ৩) লজ্জাস্থানের হেফাজত, ৪) স্বামীর আনুগত্য করুণ এতে জান্নাতের যে কোন দরজা দিয়ে প্রবেশ করতে পারবেন। - সহিহ ইবনু হিব্বান : ৪১৬৩