আমি এই সাইট থেকে আশুরার আর্টিকেল পড়েছি। সেটিই শেয়ার করছি।
হিজরি সাল শুরু হয় মহররম মাস দিয়ে। মুহররম বরকতময় এক মাস। ইসলামের অনেক ঐতিহাসিক ঘটনার স্বাক্ষী পবিত্র এ মাস। উম্মতে মুহাম্মদিই না বরং পূর্ববর্তী অনেক উম্মত ও নবীদের অবিস্মরণীয় ও বিস্ময়কর সব ঘটনাময় সম্মানিত এই মাস। মুহররম অর্থ মর্যাদাপূর্ণ বা তাৎপর্যপূর্ণ। মহররম সম্পর্কে পবিত্র কুরআনে বর্ণিত হয়েছে, ‘ নিশ্চয় আল্লাহর বিধান ও গণনায় মাসের সংখ্যা ১২টি। যেইদিন থেকে তিনি সব আসমান ও পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন। তারমধ্যে ৪টি হল সম্মানিত মাস। এটিই হল সুপ্রতিষ্ঠিত বিধান। তোমরা এই মাস গুলোর সম্মান বিনষ্ট করে নিজেদের প্রতি অত্যাচার করো না।’ – (সূরা : তওবা)
সম্মানিত ৪টি মাস সম্পর্কে আল্লাহর রাসূল (সাঃ) বলেন, ‘এক বছরে ১২ মাস। এবং তার মধ্যে ৪টি মাস বিশেষ তাৎপর্য পূর্ণ মাস। এর মধ্যে ৩ মাস ধারাবাহিক ভাবে (জিলকদ, জিলহজ ও মহররম) ও চতুর্থ মাস রজব। - (সহীহ বুখারী: ৪৬৬২ ও মুসলিম: ১৬৭৯)
একদিন আল্লাহর রাসূল (সাঃ) ইয়াহুদীদের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। তারা আশুরার দিনে রোজা রেখেছিল। রাসুল(সাঃ) তাদেরকে জিজ্ঞাসা করলেন এটা কিসের রোযা? তারা বলল, এই দিনে আল্লাহ তাআলা হযরত মূসা (আঃ) ও বনী ইসরাঈলকে ডুবে যাওয়া থেকে উদ্ধার করেছিলেন এবং ফেরাউনকে দলবল সহ সমুদ্রে নিমজ্জিত করেছিলেন।
এই দিনেই হযরত নূহ (আঃ)- এর নৌকা জূদী পর্বতে স্হির হয়েছিল। এই দিনে হযরত নূহ (আঃ) ও হযরত মূসা (আঃ) কৃতজ্ঞতাস্বরূপ রোজা রেখেছিলেন। তাই আমরাও এই দিনে রোজা রাখি। আল্লাহর রাসূল(সাঃ) এই কথা শোনার পরে বললেন, মূসা (আঃ)-এর অনুসরণের ব্যাপারে এবং এই দিনে রোজা রাখার ব্যাপারে আমি তোমাদের চেয়ে বেশী হকদার। তারপর আল্লাহর রাসূল (সাঃ) সেদিন অর্থ্যাৎ আশুরার দিন রোযা রাখেন এবং সাহাবিদেরও রোযা রাখার আদেশ দেন। - বুখারী – ২০০৪, মুসলিম – ১১৩০
রাসূল (সাঃ) ইহুদিদের ব্যতিক্রম করতে বলেছেন। যেহেতু আশুরার দিন ইহুদিরাও রোযা রাখে। তাই তাদের ব্যতিক্রম স্বরুপ ১০ মহররমের সাথে আরো ১দিন মিলিয়ে ২টি রোযা পালন করা। আল্লাহর রাসূল (সাঃ) বলেন, আমি যদি আগামী বছর বেচে থাকি তাহলে মহররমের ৯ এবং ১০ দুদিনই রোযা রাখবো। - সহিহ মুসলিম : ১৯১৬।
রাসূল (সাঃ) আরো বলেন –
১. আশুরার দিনের রোযার ব্যাপারে আমি আল্লাহর কাছে আশা করি, তিনি পূর্ববর্তী এক বছরের পাপ ক্ষমা করে দেবেন। - সহিহ মুসলিম : ১৯৭৬।
২. রামাদানের রোযার পর মহররম মাসের রোযা সর্বোত্তম। - সহিহ মুসলিম ; ১১৬৩।