জ্বর সর্দিতে প্যারাসিটামল কতটা কার্যকরী।
Published: 2021-04-19 07:30:00
ঋতু পরিবর্তনের সাথে সাথে ঠান্ডা, জ্বরের প্রকোপ বেড়ে যায়। শরীরের তাপমাত্রা বাড়লে বা জ্বর জ্বর অনুভব করলেই আমরা প্যারাসিটামল খেয়ে ফেলি। চিকিৎসকদের মতে, শরীরের তাপমাত্রা ১০১ ডিগ্রি ফারেনহাইটের বেশি না হওয়া পর্যন্ত জ্বরের ওষুধ না খাওয়াই ভালো। কর্মব্যস্ত জীবনের জন্যই মানুষ ইক্টু জ্বর অনুভব করলেই প্যারাসিটামল খেয়ে অফিসে ছুটে। কিন্তু এটি শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর। ঠান্ডা, জ্বর , মাথা ব্যাথা , দাঁত ব্যথা, শরীর ব্যথা ইত্যাদি অসুখে আমরা প্যারাসিটামল খেয়ে থাকি। বেশি পরিমাণ প্যারাসিটামল গ্রহণ করা উচিত নয়। প্যারাসিটামল এ যদি আপনার এলার্জি থাকে তবে অবশ্যই এটি খাকেবন না। কিছু কিছু ওষুধ আছে যা সেবন করলে ঘুম আসে না। একজন প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য সর্বাধিক পরিমাণ প্রতি ডোজ ২ গ্রাম থেকে ৪ গ্রাম । ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ৪ গ্রামের বেশি খাওয়া যাবে না কোন ক্রমেই। বেশি প্যারাসিটামল ব্যবহার আপনার লিভারের ক্ষতি হতে পারে। চিকিৎসকের পরামর্শ ব্যতীত ২ বছরের কম বয়সী শিশু কে ওষুধটি দিবেন না। প্যারাসিটামল যখন দরকার তখনই ব্যবহৃত হয় তাই ওষুধটি সেবনের পূর্বে ডেট টা চেক করে নিবেন। প্যারাসিটামল খেলে এর কিছু সাইড ইফেক্ট থাকে। সেগুলো হল – বমি বমি ভাব, পেট ব্যথা, ক্ষুদা হ্রাস, ত্বক বা চোখ হলুদ (জন্ডিস) রঙের হয়। প্যারাসিটামল বেশি খেলে হার্টবিট দ্রুত হয়ে যায়। সামান্য জ্বর বা ঠান্ডায় বা শরীর হাত ব্যথায় প্যারাসিটামল খাওয়া খুবই বিপদজনক। চিকিৎসকের পরামর্শ ব্যতীত এই ট্যাবলেট খাওয়া বর্জন করুন।